আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরাট সভা হল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। আর তার জেরে দলীয় কর্মী–সমর্থকরা ভিড় করেছেন। আর এখান থেকে একদিকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনের সর্বস্তরে ‘ঝাঁকুনি’ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠক থেকেই বিধানসভার লক্ষ্যে দলের সুর বেঁধে দিলেন তিনি। ভোটার তালিকা সংশোধন, সংযোজনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ থেকে শুরু করে গোষ্ঠীকোন্দল যাতে না হয় সেই বার্তাও অনুব্রত মণ্ডলকে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাজল শেখকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে হবে বলে নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই ভোটার তালিকায় কারচুপি ধরতে প্রত্যেক জেলায় কোর কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বীরভূমের জন্য আলাদা করে কিছু বললাম না। ওদের এখানে কোর কমিটি আছে। কেষ্ট কাউকে কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না। কাজলকেও কনফিডেন্সে নিতে হবে। আশিস দা আর শতাব্দীকেও মাঝে মাঝে ডেকে নেবে।’ ভুয়ো বা ভূতুড়ে ভোটার চিহ্নিতকরণ করতে একটি কমিটিও গঠন করেন তিনি। তবে সেই কমিটিতে নেই বীরভূমের কেউ। সেটা নিয়ে দলনেত্রী বলেছেন, ‘বীরভূমকে রাখিনি কারণ সেখানে কোর কমিটি আছে।’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর কথা পরই জারি হল বিজ্ঞপ্তি, ১২ জেলার কৃষকদের ১১ লক্ষ টন আলু কিনবে রাজ্য
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলায় এজেন্সি পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পঞ্জাব–হরিয়ানার বহু লোকের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢুকিয়েছে। দিল্লি থেকে সবটা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই করা হচ্ছে। কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য, ‘২০২৬ সালে আবার খেলা হবে। সেই কাজটা শুরু হবে ভোটার তালিকা পরিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে। জেলা সভাপতিদের বলব, বুথ কর্মীদের মাঠে নামান। প্রয়োজনে নির্বাচনের কমিশনের দফতরে ধরনা দেব। ২০২৭ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ। দু’তিন বছরের মধ্যেই ওদের আয়ু শেষ।’
এছাড়া নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলকে সতর্ক করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘সকলকে নিয়ে কাজ করবে। কেষ্ট কাউকে কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না। কাজলকে কনফিডেন্সে নিতে হবে। আশিসদাকে আর শতাব্দীকে ডেকে নিতে হবে। কাজেই সবাই মিলে করবে।’ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নওদার বিধায়ককে বলেছেন, ‘মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা এখন কেষ্ট দেখবে। বুথ কমিটি গড়ে কাজ করবেন। যে জেলা সভাপতি ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করতে পারবেন না, তাকে আমি বদলাতে বাধ্য হবো।’ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার পর কাজল শেখ বললেন, ‘নেত্রী যা বলেছেন সেটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলব।’