তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি। কাতারে কাতারে তৃণমূল কর্মীদের ভিড়। আর তার সঙ্গেই পুলিশি নিরাপত্তা একেবারে তুঙ্গে। খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই কর্মসূচির মধ্যমণি। সেখানে পুলিশি নিরাপত্তা তো থাকবেই। তার উপর ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে যেভাবে দফায় দফায় গন্ডগোল তাতে স্বাভাবিকভাবেই চাপ বেড়েছে পুলিশের। তবে এবার সেই পুলিশ মোতায়েনের খরচ নিয়ে হিসেব চাইলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সকালে এনিয়ে ডিজিকে চিঠি পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গেই তিনি এনিয়ে টুইটও করেছেন।
তবে চিঠিতে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেননি। শুভেন্দু টুইটে লিখেছেন, তৃণমূল( আঞ্চলিক দল) পুলিশকে ব্যক্তিগত সিকিউরিটি এজেন্সি হিসাবে ব্যবহার করছে। আমি রাজ্যের ডিজিপির কাছ জানতে চেয়েছি, তৃণমূল কি পুলিশফোর্স মোতায়েনের জন্য খরচ দিয়েছে? যদি এটা দেখাতে না পারেন তবে আমি কোর্টে যাব। বাংলার মানুষের পক্ষ নিয়ে আমি আদালতে যাব। যাতে বাংলার স্বেচ্ছাচারী রানি রাজ্যের ট্রেজারিকে নিজের পার্সোনাল পিগি ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করতে না পারেন।
তবে তিনি সেই টুইটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম উল্লেখ করেননি। তিনি দুটি ভিডিয়ো ক্লিপিংসকে ওই টুইটের মধ্যে যুক্ত করেছেন। সেখানকার একটি ভিডিয়োতে দ্বিতীয়বার ভোটগ্রহণ নিয়ে অভিষেকের ঘোষণার কথা উল্লেখ করেছেন।
অপর একটি ভিডিয়োতে তিনি ভোটদানের সময় ব্যাপক গণ্ডগোলের কথা উল্লেখ করেছেন।
গত ২৫ এপ্রিল কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে অভিষেকের নবজোয়ার। কিন্তু প্রথম থেকেই সেই নবজোয়ারে চূড়ান্ত অশান্তি। প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটদানকে কেন্দ্র করে তুমুল গণ্ডগোল। সেই গণ্ডগোল থামাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। রাত দিন তৎপর পুলিশ। আবার যেখানে তাঁবু পড়ছে সেখানেও বিশাল পুলিশি ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে একেবারে এলাহি ব্যবস্থা। কিন্তু শুভেন্দুর প্রশ্ন রাজ্যের পুলিশকে কার্যত প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সি হিসাবে ব্য়বহার করছে তৃণমূল। এনিয়ে তিনি আগেও কটাক্ষ করেছিলেন। এবার তিনি একেবারে চিঠি দিয়ে খরচের হিসাব চাইলেন। আর সেটা না দেখাতে না পারলে কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই চিঠির জবাব তিন পান কি না সেটাই দেখার।
তবে বিরোধীদের প্রশ্ন রাজ্যের হাজার হাজার বেকারের হাতে কাজ নেই। চরম আর্থিক সংকট। আর বিপুল অর্থ খরচ করে নবজোয়ার হচ্ছে। এই টাকার উৎস কী? কারা দিচ্ছে এই বিপুল টাকা?