সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের পরীক্ষার খাতা বিতর্কে ফের বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা। এবার এর প্রতিবাদে বিভাগের অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। এই ঘটনা ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত এক শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছিল। অন্য অভিযুক্ত শিক্ষককে শোকজ করার দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে এমন ঘটনায় শিক্ষকদের সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছেন তারা। বিভাগীয় প্রধান এবং ডিনার বিরুদ্ধেও পড়ুয়ারা পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অনেক পরীক্ষাতেই খাতা মূল্যায়ন ছাড়াই রাজনৈতিক রং দেখে নম্বরের অভিযোগ JU-তে
পড়ুয়াদের অভিযোগ, গোটা খাতায় কলমের কোনও দাগ নেই। খাতা না দেখে দুই শিক্ষক মনগড়া নম্বর বসিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার নম্বর কেটে দিয়েছেন। পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে এসব খাতা বাইরের পরীক্ষকদের দিয়ে দেখাতে হবে। উল্লেখ্য, এই বিভাগের ইন্টার্নাল এবং এক্সটার্নাল পরীক্ষায় ৫০টি খাতা না দেখে নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে গত দু সপ্তাহ ধরে বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ করছেন পড়ুয়ারা। বিষয়টির মীমাংসা না হওয়ায় সোমবার ফের বিক্ষোভ করেন তারা। এরপরে দুই শিক্ষকের দফতরে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
যদিও সেই সময় কোনও শিক্ষকই উপস্থিত ছিলেন না। এর মধ্যে একজন শিক্ষক ক্লাস নিয়ে আগেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর অন্য শিক্ষক ছুটি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। যে শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত খাতায় দেখা হয়েছে। পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকতে পারে। সে বিষয়ে উপাচার্যকে জানানো হয়েছে। অন্য শিক্ষক জানান, তিনি এখনও শোকজ পাননি। তবে উপাচার্যের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।
এই খাতাগুলি বোর্ড অফ স্টাডিজে পাঠিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথি চক্রবর্তী। পড়ুয়াদের বক্তব্য, এরকম করে একজন শিক্ষক ছাত্রদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। এরজন্য শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা) দফতরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার সমালোচনা করেছে। এছাড়াও, পড়ুয়ারা অন্তর্বর্তী উপাচার্যের ঘরে উপস্থিত শিক্ষকদের কটূক্তি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে। তাছাড়া, পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দিন অন্য একটি বিভাগের তদন্ত প্রক্রিয়ায় এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। তিনি গালিগালাজ শোনার পর আর কমিটিতে থাকতে চাইছেন না। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পড়ুয়ারা।