শালিমার স্টেশনে এবার মিলল টাকার পাহাড়। এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। শালিমার স্টেশনে পাটনা–শালিমার দুরন্ত এক্সপ্রেসে দুরন্ত এক্সপ্রেসের এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম বিনয় কুমার। তিনি হাওড়ার পিকে ব্যানার্জি রোডের বাসিন্দা। কেমন করে তাঁর কাছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ, রবিবার এই ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘুরতে দেখা গেলে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিআরপি। এত টাকার উৎস কী? জানতে চাওয়া হলে বৈধ নথি দেখাতে পারেনি বিনয় এবং সদুত্তরও দিতে পারেনি।
এদিকে জিআরপি সূত্রে খবর, আজ পাটনা–শালিমার দুরন্ত এক্সপ্রেস করে শালিমার স্টেশনে পৌঁছয় বিনয়। তারপর ট্রেন থেকে বিনয় একটি ব্যাগ নিয়ে নেমে হাঁটা লাগায়। কিন্তু ৩ নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কাউকে যেন একটা খুঁজছিল সে। সেটা সন্দেহজনক ছিল। তাকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। ব্যাগ খুলে দেখাতে বলা হলে বিনয় প্রথমে ঘাবড়ে যায় এবং তা দেখাতে রাজি হয় না। তার থেকে ওই ট্রেনের টিকিট পাওয়া গিয়েছে। বিনয়কে সন্দেহজনকভাবে ঘুরতে দেখে জিআরপি অফিসাররা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। তার ওই ব্যাগ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের। ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। নিয়ম মেনে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফিরতে চলেছে পাক সেনা, পাঁচ দশক পর পদ্মাপারের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেবে!
অন্যদিকে বিনয়কে প্রথমে আটক করে শালিমার জিআরপি থানায় নিয়ে আসা হয়। এই টাকা কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল? কোথা থেকেই টাকা আনা হল? সেসব নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই কথা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন জিআরপি অফিসাররা। ওই টাকার উৎস এবং সেই সম্পর্কিত কোনও কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং বিনয়কে জেরা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন শালিমার জিআরপির অফিসাররা। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এছাড়া গত নভেম্বর মাসেও এই হাওড়া স্টেশন থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সোনা এবং রুপোর গয়না উদ্ধার হয়। তখন হাওড়া স্টেশনের আরপিএফ অফিসাররা প্রায় ৭৭০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না, রুপোর মূর্তি এবং নগদ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন। হরিশ কুমার বর্মা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আজ আবার শালিমার থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই টাকার নেপথ্য থাকা মাথার নাগাল পেতে চাইছে পুলিশ।