সন্দেশখালির সভাতে বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যে সন্দেশখালিতে একটি সময় তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সাধারণ মানুষ, সাধারণ মানুষের আন্দোলনের জেরে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল তৃণমূল, সেই সন্দেশখালিতে সভা করলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সন্দেশখালিতে মমতার সভাকে সফল করতে কার্যত আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছিল তৃণমূল। বিপুল জনসমাগম হয়েছিল সন্দেশখালিতে।
সন্দেশখালির সভা থেকে মমতা বলেন, ‘নরকঙ্কালের দল, পাষন্ডের দল, বিসর্জনের দল, মানুষকে মেরে ফেলার দল আর দৃশ্য দূষণের দল। মনে রাখবেন এদের মিথ্য়ে কথায় ভুলবেন না। এভাবেই সিপিএমকে একহাত নিলেন মমতা। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, মনে রাখবেন দিদি যদি বলে দিদি করবে। মনে রাখবেন সন্দেশখালিতে ঘটনা ঘটলে আমার কানে আসবে ১ সেকেন্ডের মধ্যে, হিঙ্গলগঞ্জে একটা ঘটনা হলে আমার কানে আসবে এক সেকেন্ডের মধ্য়ে মিনাখাঁয় একটা ঘটনা হলে আমার কানে আসবে ১ সেকেন্ডের মধ্য়ে। বাদুরিয়ায় ঘটনা হলে আমার কানে আসবে ২ সেকেন্ডের মধ্য়ে। বসিরহাটে ঘটনা হলে আমার কানে আসবে আধ সেকেন্ডের মধ্যে। আমি সকাল থেকে রাত মানুষের পাহারাদারির কাজ করি। আপনারা ভালো থাকলে, আপনারা সুস্থ থাকলে আমি ভালো থাকি, সুস্থ থাকি। ’
মমতা বলেন, ‘আমি জানি হয়তো একদিন শুনব সন্দেশখালি থেকে একটা মেয়ে মাধ্যমিকে ফার্স্ট হয়েছে। আমি এটা শুনতে চাই সন্দেশখালিতে একটা মেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ফার্স্ট হয়েছে। এখান থেকে ডাক্তার হয়েছে। ডাক্তারি করে ডাক্তারিকে অপচয় করা নয়। সেবার জন্য করা। এখন থেকে মনে রাখতে হবে …কেউ হতাশ হবেন না। টাকা আসবে টাকা চলে যাবে। সম্মান চলে গেলে সব চলে যায়। টাকাও থাকে না। মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। কাল যদি কেউ কোটি টাকার স্ব্প্ন দেখে আর মারা গেল হৃদরোগে তাহলে তার আর সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না। যদি মানুষ হতে পারেন মনুষ্যত্বের দাম সবথেকে বেশি। সন্দেশখালি জিন্দাবাদ,’ ভাষণ শেষে বললেন মমতা।
এই সেই সন্দেশখালি। যেখানে একদিন শেখ শাহজাহানদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন সাধারণ মানুষ। তাদের একের পর এক অত্যাচারের কথা সামনে আসছিল। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যাতে সন্দেশখালিতে যান তার দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। কিন্তু সেই সময় নেত্রী যাননি। তবে এবার সেই সন্দেশখালিতে গিয়ে নতুন আশার কথা শোনালেন মমতা।