বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও অন্যান্য আদালতের আইনজীবীদের ক্ষেত্রে আপাতত গাউন পরা বাধ্যতামূলক নয়। জানা গিয়েছে, গরমের কারণে কলকাতার হাইকোর্টের আইনজীবীদের তিনটি সংগঠন এর আগে এবিষয়ে হাইকোর্ট প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল।
কলকাতা হাইকোর্ট
গ্রীষ্মের দাবদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ। দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ভ্যাপসা গরমে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছেন রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যেই গরম থেকে রেহাই পেতে একাধিক পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে স্কুলগুলি। এবার কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের জন্য গরমে স্বস্তির বার্তা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্টে তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে আইনজীবীদের কালো গাউন পরা বাধ্যতামূলক নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও অন্যান্য আদালতের আইনজীবীদের ক্ষেত্রে আপাতত গাউন পরা বাধ্যতামূলক নয়। জানা গিয়েছে, গরমের কারণে কলকাতার হাইকোর্টের আইনজীবীদের তিনটি সংগঠন এর আগে এবিষয়ে হাইকোর্ট প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করে উচ্চ আদালত।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বর্তমান আবহাওয়ার কথা ভেবে আজ বুধবার ২৩ এপ্রিল থেকে ৯ জুন পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্ট, হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ সহ অন্যান্য আদালতের আইনজীবীদের গাউন পরা ঐচ্ছিক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বার লাইব্রেরি ক্লাব, বার অ্যাসোসিয়েশন এবং ইনকর্পোরেটেড ল সোসাইটি অফ কলকাতার গত ১০ এপ্রিল চিঠি দিয়ে এই আর্জি জানিয়েছিল।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ডাক্তাররা সতর্ক করেছেন যে অতিরিক্ত ঘামের ফলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, যা থেকে গুরুতর হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই গরম অসহনীয় হয়ে উঠেছে। তারপরেই মঙ্গলবার এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে হাইকোর্ট। যদিও এবিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস বলেন, ‘গাউনের থেকে বেশি অসুবিধা হয় কালো কোট নিয়ে। কারণ গাউন পাতলা হয়। তবে তার নীচের কালো কোট হয় মোটা এবং ভারী। গরমে কালো কোটটা খুলে বরং গাউন পড়া বেশি সুবিধাজনক। আবেদন কালো কোটটা খোলার ব্যাপারে হওয়া দরকার ছিল।’