ঘড়িতে তখন প্রায় সকাল ১১টা। ঘটনা বুধবারের। পুলিশের কাছে খবর আসে, বাবুঘাটের কাছে খবর আসে, নদীর জলে দক্ষিণ মুখে ভেসে চলেছেন এক মহিলা। রিভার ট্রাফিক পেট্রোলের কাছে নর্থ পোর্ট থানা থেকে এই খবর প্রথম আসে। কাল বিলম্ব করেনি কলকাতা পুলিশ। খবর পেতেই স্পিড বোট নিয়ে গঙ্গায় নামেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করা হয় মহিলার।
স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই নিঃসঙ্গতায় ভুগছিলেন মহিলা। এই যন্ত্রণার সঙ্গেই ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য হয়েছিল সঙ্গী। করতেন পরিচারিকার কাজ। কোনও ভাবে চালাতেন জীবন। কিন্তু আর পারছিলেন না। নানান দিক থেকে আসা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে তিনি বেছে নিতে গিয়েছিলেন আত্মহননের রাস্তা।দিয়েছিলেন গঙ্গায় ঝাঁপ। আর গঙ্গায় তাঁর ভেসে যাওয়ার খবর পেতেই কলকাতা পুলিশ হয় তৎপর। কার্যত দেবদূতের মতো এসে ওই মহিলাকে প্রাণে রক্ষা করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের কাছে এই মহিলার ভেসে যাওয়ার খবর আসতেই তারা স্পিডবোট নিয়ে হাজির হয়ে গঙ্গা থেকে উদ্ধার করেন মহিলাকে। মহিলা গঙ্গায় যে জায়গায় ভাসছিলেন সেখানে ৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যান আরটিপি ইনস্পেকটর ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। তাঁর সঙ্গী হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গোটা ঘটনার তথ্য কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে। ফেসবুকে গোটা পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে তারা। কীভাবে তৎপরতার সঙ্গে কলকাতা পুলিশ এই উদ্যোগ নিয়েছে, তাও তুলে ধরা হয় ভিডিয়োয়।
উল্লেখ্য, মহিলা যখন গঙ্গায় ভাসছিলেন তখন গঙ্গায় ভরা জোয়ার। ফলে তাঁকে প্রাণে রক্ষা করার বিষয়টি মুখের কথা ছিল না। ঝুঁকি মাথায় নিয়েই কলকাতা পুলিশ এই উদ্ধারে তৎপর হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট আসতেই নেটনাগরিক সমাজ নানান মন্তব্য করতে থাকেন। অনেকেই জানিয়েছেন, এই কাজের জন্য সাধুবাদ। উদ্ধারকারী দলের প্রশংসা এসেছে কলকাতা পুলিশের তরফেও। আরজি কর কাণ্ড ঘিরে শহর জুড়ে উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে কলকাতা পুলিশের এই ফেসবুক পোস্ট বেশ ভাইরাল।