ওই ব্লক দফতরের অধীনে ওই ডিয়ার পার্কটি রয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক দফতরের পাশেই বারোদুয়ারি ডিয়ার পার্কটি অবস্থিত। এই পার্কে ছিল মোট ৩২টি হরিণ। তার মধ্যে আজ মঙ্গলবার দুটি হরিণের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হরিণগুলিকে ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না।
হরিণের মৃত্যু।নিজস্ব ছবি।
ডিয়ার পার্কে একাধিক হরিণ রয়েছে, অথচ প্রাণীদের দেখভালের জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। শুধু তাই নয়, চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। যার ফলে কার্যত চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল দুটি হরিণের। এছাড়াও, আরও একটি হরিণ অসুস্থ রয়েছে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বারোদুয়ারি ডিয়ার পার্কের দুটি হরিণের মৃত্যুর ঘটনায় কার্যত প্রশ্ন উঠে গিয়েছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন পশু প্রেমীরা।
জানা গিয়েছে, ওই ব্লক দফতরের অধীনে ওই ডিয়ার পার্কটি রয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক দফতরের পাশেই বারোদুয়ারি ডিয়ার পার্কটি অবস্থিত। এই পার্কে ছিল মোট ৩২টি হরিণ। তার মধ্যে আজ মঙ্গলবার দুটি হরিণের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হরিণগুলিকে ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না। তাছাড়া, ঠিকমতো পরিচর্যাও করা হয় না। সেই কারণে অসুস্থ হয়ে হরিণগুলির মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হওয়ার ফলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে দুটি হরিণ। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে হরিণদের দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশুপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ডিয়ার পার্কের দেখভাল করেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তাপস কুমার পাল। সাধারণত হরিশ্চন্দ্রপুরে একটি পশু চিকিৎসালয় রয়েছে। তবে পশু চিকিৎসালয়টি ঝা চকচকে হলেও কার্যত বেহাল অবস্থা পশু চিকিৎসালয়ের। কারণ সেখানে কোনও পশু চিকিৎসক নেই।