বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Central forces for Hanuman Jayanti 2023: 'পরীক্ষা'-য় উতরোতে হনুমান জয়ন্তীতে সেন্ট্রাল ফোর্স, আদতে মুখ পুড়ল সরকারের?
পরবর্তী খবর
Central forces for Hanuman Jayanti 2023: 'পরীক্ষা'-য় উতরোতে হনুমান জয়ন্তীতে সেন্ট্রাল ফোর্স, আদতে মুখ পুড়ল সরকারের?
Central forces deployed for Hanuman Jayanti 2023: হনুমান জয়ন্তীর সময় যাতে রাজ্যের কোথাও যাতে কোনওরকম অশান্তি না ছড়ায়, সেজন্য ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সব জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
হনুমান জয়ন্তীতে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
কলকাতা হাইকোর্টের পরামর্শের পরই হনুমান জয়ন্তীতে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। কলকাতা, ব্যারাকপুর এবং হুগলিতে সেই বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সেইসঙ্গে পুলিশের তরফেও কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রামনবমীর মিছিল ঘিরে শিবপুর এবং রিষড়ায় যে অশান্তি হয়েছিল, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে হনুমান জয়ন্তীতে না হয়, সেজন্য বাড়তি অবলম্বন করছে পুলিশ। স্পর্শকাতর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। মিছিলে ১০০ জনের বেশি থাকা যাবে না।
বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তীর সময় যাতে রাজ্যের কোথাও যাতে কোনওরকম অশান্তি না ছড়ায়, সেজন্য ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সব জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কোন কোন এলাকা স্পর্শকাতর, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, হনুমান জয়ন্তীর জন্য ইতিমধ্যে ২,০০০-র বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যে এলাকাগুলিত একাধিক মিছিল হবে, সেখানে একটি সাধারণ বা 'কমন রুট' তৈরি করে দেওয়া হতে পারে। কোন মিছিল কোথা থেকে শুরু হবে, কোথায় শেষ হবে, কোন রাস্তা ধরে এগিয়ে যাবে, তা নির্ধারণ করে দেবে পুলিশ। সেক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি পুলিশের নজরে থাকবে বলে মনে করছে নবান্ন।
রামনবমীতে শিবপুর, রিষড়ার মতো জায়গায় অশান্তির পর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার ক্ষেত্রে কার্যত পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্ট ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পরামর্শ দেয় যে হনুমান জয়ন্তীতে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে। সম্প্রতি রাজ্যে যে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে সাধারণ মানুষকে ভরসা জোগাতে হবে যে তাঁরা সুরক্ষিত থাকবেন এবং কোনও অশান্তির জেরে তাঁদের উপর যে কোনও প্রভাব পড়বে না, তা নিশ্চিত করতেই সেই রায় দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের ইন্টেলিজেন্স বিভাগকে আরও মজবুত করতে হবে। পূর্ব-পরিকল্পিত আক্রমণ বা হিংসা রুখতে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে।
বিষয়টির সংবেদনশীলতা বিচার করে হনুমান জয়ন্তী নিয়ে সাধারণ মানুষ বা সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা কোনও নেতা বা কোনও সাধারণ মানুষ।
অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। যে এলাকা দিয়ে মিছিল যাবে, সেটার ভিডিয়োগ্রাফ করতে হবে।