মালদার সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্যুতে চরমে উঠল তরজা। একদিকে বিজেপির দাবি, ঘটনার NIA তদন্ত করাতে হবে। অন্যদিকে তৃণমূল বলছে, সমস্ত বিষয়ে এখন তৃণমূলের ভূত দেখে বিজেপি। মুখ খুলেছেন রাজ্যপালও। বিবৃতি জারি করা হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষে।
এদিন রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্যুতে তদন্তের আগেই কারণ বলে দিচ্ছে স্বরাষ্ট্র দফতর। কেন পুলিশ নিরপেক্ষ হয়ে ঘটনার তদন্ত করছে না? কেন মুখ্যমন্ত্রী মৃতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ্যে আনছেন না?
এই ঘটনায় NIA তদন্ত দাবি করে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘সুজাপুরের মতো জায়গায় যখন বিস্ফোরণটা হয়েছে তখন নিশ্চিতভাবে এখানে বোমা ছিল। নির্বাচন যত এগোবে তত বোমা তৈরির কারখানার সংখ্যা বাড়বে। তারই একটি উদাহরণ সুজাপুরের বিস্ফোরণ। প্লাস্টিক তৈরির কারখানার নামে সেখানে বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। এক্ষেত্রে আমি NIA তদন্ত দাবি করছি। কিন্তু ওরা হতে দেবে না। কারণ ওরা চায় না সত্যটা বেরিয়ে আসুক। ওরা সবকিছু ধামাচাপা দিতে চায়’।
বিজেপির রাজ্য সভাপতিও বোমা থেকে বিস্ফোরণের তত্ত্ব উত্থাপন করেন। বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ, মালদা-সহ গোটা রাজ্যেই বোমা আর অস্ত্রের কারখানা তৈরি হয়েছে। পুলিস প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।’
স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, সুজাপুর বিস্ফোরণ নিয়ে অনেকে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করছেন। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছেন সেখানে মোটরে বিস্ফোরণ ঘটেছে। রাজ্য সরকার হতাহতদের পাশে রয়েছে।
তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়ায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওরা সবকিছুতেই তৃণমূলের ভূত দেখছে। এটা নিছকই একটা দুর্ঘটনা। যারা তদন্ত করছে তারা এটা দেখবে। NIA-কে এখানে দেখতে হবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন যথেষ্ট’।
এদিন হেলিকপ্টারে মালদা পৌঁছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। ৪৫ ঘোড়া মোটর ফেটেছে। আমি এসে দেখলাম ঘরের চাল তখনও গাছের ওপরে। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার মালদার সুজাপুরে একটি প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়ে কারখানার দেওয়াল। উড়ে যায় চাল। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় মৃতদেহগুলি।