একের পর এক জঙ্গি ধরা পড়ছে বাংলা, বিহার এবং অসমে। বাংলাদেশে উত্তপ্ত অবস্থা এখন। তার মধ্যেই জঙ্গিরা ছাড়া পেয়ে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় চলে আসছে। তার উপর হিন্দুদের উপর অত্যাচার লাগামছাড়া চেহারা নিয়েছে। এই আবহে বহু ওপার বাংলার নাগরিক অবৈধ পথে এপার বাংলায় চলে আসছে। এবার নদিয়ার ধানতলা এবং হাঁসখালি থানার গ্রাম থেকে ফের ধরা পড়ল চোরাপথে আসা একদল বাংলাদেশি নাগরিক। এবার দুই থানা যৌথ অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১০ জন বাংলাদেশি নাগরিক, পাঁচজন ভারতীয় দালালকে ধরেছে। গ্রেফতার হওয়া নাগরিকদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৫ জন মহিলা এবং একজন নাবালিকা।
এই ঘটনা নিয়ে এখন উদ্বেগে রয়েছে পুলিশ। কারণ এই সংখ্যা আর কত বাড়বে সেটাই ভাবিয়ে তুলেছে। বিএসএফের নজর এড়িয়ে এই বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশেরও নজর এড়িয়ে যায়? তখন তো কোনও খারাপ ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। এটাই ভাবিয়ে তুলছে। বিএসএফের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নভেম্বর–ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এখনও পর্যন্ত মোট ৪২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং ২৪ জন ভারতীয় দালাল গ্রেফতার হয়েছে। কেমন করে বিএসএফ নজরদারি এড়িয়ে এপারে আসছে? কোন পথে এপার বাংলায় প্রবেশ? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা পুলিশ অফিসারের স্বামী নিখোঁজ, থানায় অভিযোগ দায়ের
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। এভাবে এপার বাংলায় প্রবেশ করে বসবাস করতে থাকলে জনসংখ্যা তো বেড়ে যাবে। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রানাঘাট জেলা পুলিশের ডিএসপি (বর্ডার) সোমনাথ ঝা বলেন, ‘আমাদের জেলার সীমান্ত গ্রামে লুকিয়ে থাকা বাংলাদেশি নাগরিক এবং দালালদের ধরতে ধারাবাহিক অভিযান চালানো হয়েছে। বুধবার রাতে দুই থানার বিশেষ যৌথ অভিযানে ১৫ জন ধরা পড়েছে।’ ১০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। শুধু ধানতলা থানা এলাকা থেকেই ধরা পড়েছে ১০ জন। আর দালালদের মধ্যে তিনজন ধানতলা থানা, দু’জন হাঁসখালি থানা এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে রেখে দফায় দফায় জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
ঢাকা শহর থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালি, খুলনা, রাজশাহী–সহ নানা জায়গা থেকে এপারে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশের নাগরিক বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এই বিষয়ে ডিএসপি’র বক্তব্য, ‘এক নাবালিকাকে নিয়ে দুই মহিলা এবং এক পুরুষ দু’দিন আগে এপারের দত্তপুলিয়ার বরণবেড়িয়া গ্রামে ঢুকে পড়ে। আর এক আশ্রয়দাতার কাছে লুকোনোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের চোখে ধরা পড়ে যায় সে। তার সঙ্গে ধরা পড়েছে, এপার বাংলার দালালও। কানিবামনি গ্রাম থেকেও তিন বাংলাদেশি নাগরিক এবং এপারের এক দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এদের মধ্যে নোয়াখালি, মাগুড়া, যশোর জেলার লোক রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।