আইনজীবী স্বস্তিক সমাদ্দার।
নিখোঁজ ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। এবার তাঁর রহস্যমৃত্যুর খবর সামনে এল। আইনজীবীর দেহ অবশ্য বর্ধমানে উদ্ধার হয়েছে। বর্ধমানেই থাকতেন আইনজীবী স্বস্তিক সমাদ্দার। সুতরাং নিখোঁজ এবং তারপর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন আইনজীবী স্বস্তিক সমাদ্দার। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ মেলেনি। এই আবহে বর্ধমান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন আইনজীবীর পরিবারের সদস্যরা। এবার রহস্যমৃত্যুর পর দেহ হাতে পাওয়ায় পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে বর্ধমান শহরে। আইনজীবী স্বস্তিক সমাদ্দারের বাড়ি বর্ধমানের ডিভিসি মোড়ের মালঞ্চ এলাকায়। গত ২১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে একটি মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্বস্তিক। তারপর থেকেই আর তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। কোনও খোঁজ না পেয়েই পরিবারের সদস্যরা বর্ধমান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ উল্লাসের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। কেমন করে এই ঘটনা ঘটল? পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে কিছুদিন আগে গড়ফায় এক মহিলা আইনজীবীর রহস্যমৃত্যু ঘটেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বর্ধমানে এমন ঘটনা ঘটল। পুলিশ এই দুটি ঘটনার পিছনে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে। গড়ফার ঘটনা আবার উসকে উঠল বর্ধমানে স্বস্তিক সমাদ্দারের রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে। ওই আইনজীবীর কয়েকজন মক্কেলের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করতে চাইছে। যদি কোনও সূত্র বেরিয়ে আসে। আসলে বিষয়টি যে খুব স্বাভাবিকভাবে ঘটেনি সেটা বুঝতে পারছে পুলিশ। খুন নাকি আত্মহত্যা? এখন এই প্রশ্নই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বয়স বাড়লে কর্মক্ষমতা কমে’, আবার নতুন করে নবীন–প্রবীণ ইস্যু তুললেন অভিষেক
পরিবার সূত্রে খবর, আইনজীবী স্বস্তিক সমাদ্দারের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না। তাহলে এমন ঘটনা কেন ঘটল? কাউকে সন্দেহ হয়? এমন সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অবস্থায় নেই আইনজীবীর পরিবার। তবে পুলিশ প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছেন। শেষ কখন দেখা গিয়েছিল এই তথ্য খুঁজে বের করতে চাইছে পুলিশ। তাহলেই বাকি রহস্যের জাল ভেদ করা যাবে বলে মনে হচ্ছে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছে। কোনও শরীরে দাগ আছে কিনা সেটা পুলিশ অবশ্য জানায়নি।