ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই বাংলাদেশে চলছে শীতকালীন সেনা মহড়া। আর তারই মধ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। তাদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে উত্তরবঙ্গের সীমান্তে ক্রমশ বাড়ছে বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর গতিবিধি। বিশেষ করে চিকেন নেকের কাছে বেড়েছে বাংলাদেশি সেনার অস্থায়ী ক্যাম্প। এমনকী বিজিবির গুলির আওয়াজে রাতে ঠিক করে ঘুমাতে পারছেন না সীমান্তবর্তী বহু গ্রামের বাসিন্দারা।
হিলি থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের রাজবাড়িতে চাঁদমারি সেনাক্যাম্পে চলছে সেদেশের সেনাবাহিনীর যুদ্ধের মহড়া। আর তার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, মাঝে মাঝেই বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাচ্ছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের দাবি, গত কয়েক মাসে সীমান্তে বাংলাদেশি সেনার উপস্থিতি অনেক বেড়েছে। বিজিবির আড়ালে সীমান্তে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করছে তারা। রাত বাড়লেই সেখান থেকে আসছে গুলির শব্দ।
সীমান্তের ওপারে সশস্ত্র বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের মাকড়হাট, চৈনগর, মালন, কৈলাডাঙ্গি, সনগাঁও, মালদোখণ্ডের মতো গ্রামের বাসিন্দারা। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তেও একই ছবি। তাঁদের আশঙ্কা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাক সেনা সেখানে বাড়তি সুবিধা পেয়েছিল। ফলে ভারতে হামলা চালালে হিলি সীমান্তকেই বেছে নিতে পারে বাংলাদেশি বাহিনী।
ওদিকে সীমান্ত লাগোয়া জমির কৃষকরাও ভয়ে কাঁটা। তাদের আশঙ্কা, যে ভাবে বাংলাদেশের দিক থেকে গুলির আওয়াজ আসছে তাতে চাষ করতে গিয়ে যে কোনও সময় গুলিবিদ্ধ হতে পারেন তাঁরা। তারা জানিয়েছেন, একই ভয় গ্রাস করেছে সীমান্তের ওপারের বাসিন্দাদেরও।