পেট্রোপোল সীমান্তে দলে দলে জড়ো হচ্ছেন হিন্দুরা। চলছে তুমুল বিক্ষোভ। বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধের দাবিতে এপার বাংলার সীমান্তে শুরু হল তুমুল বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভে শামিল হচ্ছে বিজেপি নেতারা। মূলত দলীয় পতাকা ছাড়াই তাঁরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছেন বলে খবর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক বিজেপি নেতা এই বিক্ষোভ সমাবেশে আসছেন বলে খবর। সব মিলিয়ে এবার বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধের দাবি এপারের সীমান্তেও গর্জে উঠলেন সাধারণ মানুষ। সনাতনী ঐক্য পরিষদের ডাকে এই জমায়েত বলে জানা গিয়েছে। অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির প্রতিনিধিরা, সাধু সন্তরাও জড়ো হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, কেবলমাত্র পেট্রোপোল সীমান্তে নয়, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে সীমান্ত এলাকায় এই বিক্ষোভ চলবে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলতে থাকবে।
পেট্রাপোল সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় চলছে স্লোগান। কেন হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলছে বাংলাদেশে তা নিয়ে বিক্ষোভস্থলে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
এদিকে বাংলাদেশে ৮দিন ধরে জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। পেট্রোপোলের পাশাপাশি কোচবিহারের চ্য়াংরাবান্ধা সীমান্তও কার্যত থমথমে। বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছিলেন তাঁদের অনেকেই ফিরতে চাইছেন তাঁদের নিজের দেশে। অনেকে চিকিৎসার জন্য় এসেছিলেন ভারতে তাঁরাও ফিরতে চাইছেন। সব মিলিয়ে একেবারে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি।
ওখানে কিছু কিছু জায়গায় ভারত বিরোধী স্লোগান চলছে। ভারতের দালাল বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। জামাত বলে একটা সংগঠনও দেখলাম মিছিল করছে। ভারতকেই ওরা সহ্যই করতে পারছে না। বাংলাদেশ থেকে সদ্য ফিরে আসা এক ব্যক্তি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় একথা জানিয়েছেন। অপর এক মহিলা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ঘরে তালাবন্ধ করে বসে থাকতে হচ্ছে এমন পরিস্থিতি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা পালানোর চেষ্টা করছেন কিন্তু পারছেন না। তবে ওখানে কী হচ্ছে সেটা দেখার পরেও যদি বাংলার হিন্দুরা যদি এখনও না জাগে তবে বাংলার হিন্দুদেরও এই পরিস্থিতি হবে। এটা মনে রাখতে হবে।
এদিকে ভারত ও বাংলাদেশের পরিস্থিতির অবনতির জেরে দুই দেশের বাণিজ্যে অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বাংলার বিভিন্ন সীমান্তেই এই পরিস্থিতি। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ভারতে আসা অনেক বাংলাদেশিরা ফিরে যেতে চাইছেন তাঁদের দেশে। তাঁদের অনেকেই চাইছেন তাদের দেশে শান্তি ফিরুক। সেই সঙ্গেই বহু বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য এপার বাংলায় আসেন। এদিকে অশান্ত পরিস্থিতির জেরে আর তারা ভারতে চিকিৎসার জন্য় আসতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে কার্যত ত্রাসের দেশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।