বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ফোরক দাবি বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। মৌলবাদ নিয়ে অধীরের বক্তব্য, 'এই নিয়ে ঠুনকো রাজনীতি করবেন না। দেশ শেষ হবে যাবে। বাংলা শেষ হয়ে যাবে। এটা অনেকটা ক্যানসারের মতো। পদক্ষেপ না করলে শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।' এই নিয়ে অধীর চৌধুরী আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'এখনই পদক্ষেপ না করলে বঙ্গের সীমান্ত জেলা মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের অধিকাংশ এলাকা ওপার বাংলার অংশ বলে দাবি করবে বাংলাদেশ।' (আরও পড়ুন: 'সংখ্যাগুরু' বিতর্কে এবার ফিরহাদের জবাব - 'আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথানত নয়')
আরও পড়ুন: প্রবাসী ভারতীয়রা দেশে যত টাকা পাঠান, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মিলিত বাজেটের তা...
এদিকে স্বাধীনতার সময় দু'দিন পূর্ব পাকিস্তানের অংশ ছিল মুর্শিদাবাদ। তা নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, 'স্বাধীনতার সময় মৌলবাদীরা এই অঞ্চলকে পাকিস্তানের বলে দাবি করেছিল। তখন মুর্শিদাবাদ দু'দিন পাকিস্তানে অংশও ছিল। আজও মুর্শিদাবাদে মুসলিমরাই সংখ্যাগুরু। এই আবহে এখনই পদক্ষেপ না করলে সেই পরিস্থিতি ফিরতে পারে। মৌলবাদীরা নিজেদের জায়গা বাড়াতে চাইছে। এই জন্য হিন্দুদের জমিজায়গা ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ওখানে মৌলবাদীদের বসানো হবে।' এই সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিতে যাতে বাংলায় হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে বসবাস করতে পারে, তা নিয়ে অধীর বলেন, 'এখানে যাতে হিন্দু, মুসলমান সবাই একত্রে বসাবাস করতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে আজ বাংলাদেশের যা অবস্থা আগামীদিনে বাংলার সেই দশা হতে পারে।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে সাক্ষ্য নির্যাতিতার, ধর্ষককে সাজা শোনাল এপারের আদালত)
আরও পড়ুন: আমেরিকায় আঘাত হানতে পারে, এমন মিসাইল তৈরি করছে পাকিস্তান: হোয়াইট হাউস আধিকারিক
এদিকে পাসপোর্ট চক্রের তদন্তে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে এসটিএফের হাতে ধরা পড়েছে দুই যুবক। সেই ধৃতদের আবার জিহাদি যোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃত আব্বাস আলি নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা ও মিনারুল শেখ রুকুনপুরের। বারুইপাড়া এলাকায় মাদ্রাসা খুলেছিল আব্বাস আলি। এই আব্বাস আলি জেএমবির সদস্য বলে জানতে পেরেছে এসটিএফ। তার বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি ও মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। এদিকে রুকুনপুরের মিনারুল শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পেন ড্রাইভ, হিজবুলের বই, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে অসম পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এই আব্বাস আলির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মিনারুল শেখের। এহেন পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদে মৌলবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার ছ কষা হচ্ছে বলে আশঙ্কা আরও বেড়েছে।